সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যদি আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হতো, তবে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। তিনি বলেন, কিন্তু তখন যেটা হয়েছে, উনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সেল করতে চেয়েছিলেন। পতিত স্বৈরাচারের ধান্দা ছিল সেটা। ফলে যেটা হয়েছে, ফোকাস চলে গেছে অন্যদিকে। এখন ইউক্রেন যুদ্ধ, সুদানের গৃহযুদ্ধ, গাজায় গণহত্যার দিকে বৈশ্বিক মনোযোগ চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ১৯৭৮, ১৯৯১ ও ২০০৬ সালে প্রবেশ করলেও সবচেয়ে বড় ঢল এসেছিল ২০১৭ সালের আগস্ট–সেপ্টেম্বরে। তখন প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা দেশপ্রবেশ করেছে, এটা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এই সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে আনা হয়েছে। প্রফেসর ইউনূসের অনুরোধে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গাদের চারজন নেতা বক্তব্য দেন এবং শীর্ষ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কনফারেন্সে ৯৬ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন, যার ফলে সংকটটি আবারও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এছাড়া কক্সবাজার ও কাতারের দোহাতে রোহিঙ্গা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার শুরু থেকেই রোহিঙ্গা সংকটে সৎ ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তার ফলাফল হয়তো এখনো পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, তবে সামনের দিনগুলোতে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।







